অর্থ-বাণিজ্যপ্রধান সংবাদ

নগদ টাকা প্রদানসহ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি সুবিধা

স্টাফ রিপোর্টার:
জুলাই পর্যন্ত দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি জানান, দেশের ১০ শতাংশ অতি দরিদ্র। আর ১০ শতাংশ দরিদ্রের সঙ্গে ৫ শতাংশ মধ্যবিত্ত পরিবার যোগ করে মোট ২৫ শতাংশ মানুষকে জুলাই পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। অর্থাৎ দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষ এই সহায়তা পাবে।

এ কাজ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে ৭ ধাপে ৭৬ হাজার টন চাল এবং নগদ ৪২ কোটি টাকা দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করেছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

এসময় ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বয়স্কদের জন্য আমার যে সহায়তা দিচ্ছি এর পাশাপাশি শিশুদের দুধের জন্য টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় প্রসাশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এই সকল খাদ্যসামগ্রী বিতরণে কোন ত্রুটি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ত্রাণ নিয়ে যারা দুর্নীতি করছে তাদেরকে ছাড় নয়। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, বন্ধ উপার্জন। এ অবস্থায় দুঃস্থদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এখন ১০ টাকার ওএমএসের চাল পাচ্ছে ৫০ লাখ মানুষ। রেশন কার্ডের মাধ্যমে এর আওতায় আসছে আরও ৫০ লাখ।

তিন কোটি ২০ লাখ মানুষকে জুলাই পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি শিশুখাদ্যসহ মাসে পরিবার-প্রতি দেয়া হবে নগদ এক হাজার টাকা।

জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সংসদ সদস্য, মেয়র, কমিশনার, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাধ্যমে দুস্থদের কাছে পৌঁছবে সহায়তা। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রভাবে অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।

এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে দেশে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয় সেজন্য ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার জাতীয় সংসদের সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় আরো ৫০ লাখ লোককে রেশন কার্ড দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে এক কোটি লোক খাদ্য সহায়তা পাবেন। আর এই এক কোটি লোকের পরিবারের সংখ্যা যদি পাঁচজন হয় তাহলে পাঁচ কোটি লোক খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবেন।

করোনা চিকিৎসায় সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। অনেক বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলায় পৃথক আইসোলেশন হাসপাতাল খোলা হয়েছে। আইসোলেশন ইউনিট ৬ হাজার ২০০টি। ভবিষ্যতের জন্য ইতোমধ্যে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। প্রত্যেক জেলা হাসপাতালে উন্নত ধরনের চিকিৎসা যেন জনগণ পায় সেই ব্যবস্থাটাও ভবিষ্যতে আমরা করব।

তিনি ঢাকায় সুনির্দিষ্ট সেবা দিতে কয়েকটি হাসপাতালের তালিকা দিয়ে বলেন, যদি রোগীর সংখ্যা বাড়ে এসব হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হবে। এটি এমন একটি বিষয় যা কতদিন চলবে তা কেউ জানে না। সারাবিশ্ব বলতে পারছে না।

এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক জালাল সাইফুর রহমান ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিনের মৃত্যুতে সংসদে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

 

চিত্রদেশ //এস//

Related Articles

Back to top button