প্রধান সংবাদ

দেশে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ৫৪৯ জন, মোট ৬৪৬২

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ৫৪৯ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪৬২। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরো ৩ জন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৫৫। মারা যাওয়া তিনজনই ষাটোর্ধ্ব। তারা সবাই ঢাকার বাসিন্দা।

২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৩০৯টি করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ৩৩২টি নমুনা।

মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, যারা দেশবাসীর পাশে বিভিন্ন দাঁড়িয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

তথ্যমতে, দেশের ৬৪ জেলার ৬০টিতেই করোনা রোগী পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা জেলায়। যেখানে মোট রোগীর প্রায় ৭৩ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকার চার জেলার মধ্যে পর্যাক্রমে সংক্রামণে হার বেশি নায়ারণগঞ্জে। এরপর রয়েছে গাজীপুর। গাজীপুরের পর সংক্রামণের হারে এগিয়ে কিশোরগঞ্জ এবং চতুর্থ জেলা নরসিংদী।

ঢাকা সিটির যেসব জায়গায় সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে:

১) রাজারবাগ

২) মোহাম্মদপুর

৩) লালবাগ

৪) যাত্রাবাড়ি

৫) বংশাল

৬) চকবাজার

৭) মিরপুর

৮) উত্তরা

৯) তেজগাঁ

১০) মহাখালী

দেশে মোট করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ মহিলা। ২১-৩০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক ২৪ শতাংশ আক্রান্ত রোগী।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ২ হাজার ৩৯২ জন। ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩১ জন। বর্তমানে মোট হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৯২ জন। দেশে ৬৪ জেলার সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা আছে ৬০১টি প্রতিষ্ঠান এবং তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টিন সেবা প্রদান করা যায় ৩০ হাজার ৬৩৫ জনকে।

ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) গত ২৪ ঘণ্টায় বিতরণ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৫০টি এবং সংগৃহীত হয়েছে ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ হাজার ৫৩৫টি। সর্বমোট পিপিই বিতরণ করা হয়েছে ১৩ লক্ষ ৯ হাজার ১৪৮টি। বর্তমানে মজুদ রয়েছে ৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৪৪৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন (স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩), ৩৩৩ এবং আইইডিসিআরের হটলাইন (১০৬৫৫;০১৯৪৪৩৩৩২২২) ব্যবহার করে পরামর্শ দেয়া হয়েছে ৭২ হাজার ৪৪৭ জনকে। আর সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কল রিসিভ করা হয়েছে ৩৫ লক্ষ ৫৮ হাজারেরও বেশি।

এছাড়া মোবাইল ফোন ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গত ২৪ ঘণ্টায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে ৩১ হাজার ১২৪ জনকে। সর্বমোট স্বাস্থ্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে ১৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ২১৭ জনকে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিমানবন্দর, স্থল বন্দর ও সমুদ্রবন্দরে গত ২৪ ঘণ্টায় স্কানিং করা হয়েছে ৫০১ জনকে। এবং সর্বমোট স্কানিং করা হয়েছে ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭৮২ জনকে।

প্রসঙ্গত, বিগত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩১ লাখ ছুঁই ছুঁই। মারা গেছেন দুই লাখ ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ৯ লাখ ২৪ হাজারেরও বেশি রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এপ্রিলের শুরু থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button