আন্তর্জাতিকপ্রধান সংবাদ

দিল্লির সহিংস ঘটনার ৪ দিন পর হুঁশ ফিরল, মোদির টুইট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

গত রোববার শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ মঙ্গলবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নিয়েছিল।

অথচ দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হুঁশ ফিরল চার দিন পর! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের খাতির-যত্ন নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন তিনি।

দিল্লির সহিংসতা নিয়ে টুইট করেছেন মোদি।

মোদি লিখলেন, ‘দিল্লির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে সরকার। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে, শান্তি ফেরাতে পুলিশ এবং অন্য সংস্থা কাজ করছে। আমাদের সংস্কৃতির মূল কথা শান্তি ও সম্প্রীতি। দিল্লির বোন ও ভাইদের প্রতি অনুরোধ, সব সময়ে শান্তি এবং ভ্রাতৃত্বতা বজায় রাখুন। দিল্লিতে দ্রুত শান্তি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসাটা জরুরি।’

দিল্লির সহিংসতা বিষয়ে সোনিয়া গান্ধী একহাত নেয়ার পরই এ টুইট করলেন নরেন্দ্র মোদি।

বুধবার কংগ্রেস নেত্রী দিল্লি পরিস্থিতিতে মোদির নীরবতাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বলেছিলেন, অটলবিহারি বাজপেয়ির সরকারে আমি বিরোধী নেত্রী ছিলাম। কাশ্মীরসহ দেশের যে কোনো সংকটে তিনি বৈঠকে আমাকে ডাকতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, মোদি সরকার আসার পর এমন বৈঠক হয়নি। দিল্লির এমন পরিস্থিতিতেও গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু দিল্লির প্রতিনিধিদের ডেকেছেন। আমাদের নয়।’

সোনিয়ার এই মন্তব্যের আধাঘণ্টা পরেই দিল্লি সহিংসতা নিয়ে প্রথম টুইট করলেন নরেন্দ্র মোদি।

দেশের সংকটকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই নীরবতা এর আগেও ঘটেছে বলে অভিযোগ খোদ বিজেপির কয়েকজন নেতাকর্মীর।

বিজেপি নেতাদের অনেকেই বলছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি বরাবরই ঘটনার অনেক পর মুখ খোলেন। আকলাখ খুনের ঘটনা, উনায় দলিত-নিগ্রহ কিংবা গত বছর পুলওয়ামায় জইশের হামলায় চল্লিশোর্ধ্ব সেনা নিহতের ঘোষণাও অনেক পরে কথা বলেন মোদি।

মোদির নীরবতায় দিল্লির সহিংসতা আরও বেশি হয়েছে অভিযোগ করে হায়দ্রাবাদের এমপি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘দিল্লির ঘটনা সাম্প্রাদয়িক। ২০০২ সালের গুজরাট মনে করাচ্ছে এ ঘটনা।’

 চিত্রদেশ //এফ//

Related Articles

Back to top button