প্রধান সংবাদ

থার্টিফার্স্টে বন্ধ থাকবে হাতিরঝিল, ডিএমপির যত নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার:
থার্টিফার্স্ট নাইট নিয়ে নিরাপত্তার কোনো হুমকি নেই। দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ নিয়ে কাজ করছে। কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

এছাড়া ঘরোয়াভাবে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলেও তা পুলিশকে অবহিত করে অনুমতি সাপেক্ষে তা করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে ডিএমপির পক্ষ থেকে। প্রয়োজনে পুলিশ নিরাপত্তা বিধান ও তত্ত্বাবধানে হবে এসব অনুষ্ঠানে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব নিদের্শনা দেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তার জন্য পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের পুলিশ শহরজুড়ে মোতায়েন থাকবে। প্রস্তুত থাকবে সোয়াত টিম, সিআইডিসহ অন্য টিমগুলোও। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট থাকবে।

তিনি বলেন, আজ থেকে শহরের প্রত্যেকটি বারের মদ কেনাবেচা বন্ধ থাকবে। অস্ত্র বহনে থাকবে নিষেধাজ্ঞা। শহরের ভিআইপি জোন ও সড়কের প্রবেশাধিকার থাকবে সংরক্ষিত। তাছাড়া সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে ঢাবি এলাকায় কোন গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি টিএসসির অনুষ্ঠানগুলোতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার বাসিন্দাদের রাত আটটার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় চলে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। একই সঙ্গে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন না, এমন কাউকে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে সেসব এলাকায় না যেতে বলেছেন।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত বা সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান বা সমবেত হওয়া যাবে না বা নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ছয়টার পর বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দেওয়া সাপেক্ষে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। গুলশান এলাকায় প্রবেশে কাকলি ক্রসিং এবং আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দেওয়া সাপেক্ষে এ দুটি ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। রাত আটটার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। সন্ধ্যা ছয়টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না।

ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে কাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি ভোর ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এসব নির্দেশ মেনে না চললে ডিএমপি পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

ডিএমপি কমিশনার যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সহায়তা করার জন্য নগরবাসীর প্রতিও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ডিএমপি ইংরেজি নববর্ষ-২০২০ উদ্যাপন নির্বিঘ্ন করতে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button