ঢাকার বিপক্ষে সহজ জয় পেল চট্টগ্রাম
স্পোর্টস ডেস্ক:
মিরপুরের বিপিএলের তৃতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে ঢাকার দ্বিতীয় পর্ব শুরু করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শুরুতে ব্যাট করে চট্টগ্রামকে ১২৫ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় ঢাকা। জবাবে ইমরুলের অপরাজিত ৫৪ রানে ভর করে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের দেখা পায় চ্যালেঞ্জার্স
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে ঢাকা প্লাটুনকে ব্যাট করতে পাঠায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল এবং এনামুল বিজয়ের ব্যাটে ভর দিয়ে শুরুটা বেশ ভালই করে ঢাকা। কিন্তু দলীয় ৩২ রানের মাথায় ১৪ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরেন এনামুল।
এনামুল ফিরলেও এদিন দাঁড়াতে পারেনি, আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিং তান্ডব চালানো মেহেদী হাসান। প্লানকেটের বলে শূন্য রানে ফিরেন এই অলরাউন্ডার। সেই সাথে এদিন সুবিধা করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ২৭ বল খেলে ১ চারে ২১ রান করে নাসুমের বলে ফিরেন দেশ সেরা এই ওপেনার।
পরবর্তীতে মুমিনুলকে এক পাশে রেখে নিয়ম বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বসে প্লাটুন। জাকির আলী (৩), আফ্রিদি (০), সাদাব (০) ও পেরেরা ফিরেন মাত্র ৬ রান করে। এরপর একই ইনিংসে দ্বিতীয় রান আউটের শিকার হোন ৩২ রান করা মুমিনুল।
শেষ দিকে ওয়াহাব রিয়াজের ১৫ বলে ২৩ রান ও মাশরাফির ১২ বলে ১৭ রানের উপর ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান জড়ো করতে সক্ষম হয় ঢাকা প্লাটুন।
চট্টগ্রামে বল হাতে মোক্তার আলী ও রায়ান বার্ল নেন ২টি করে উইকেট। এ ম্যাচে ২৬ রান দিয়ে উইকেট বিহীন ছিলেন মেহেদী হাসান রানা।
১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে করতে নেমে তেড়েফুরেই শুরু করেন চ্যালেঞ্জার্সের দুই ওপেনার। কিন্তু দলীয় ২৫ রানেই দুই ওপেনারকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন মাশরাফি এবং মেহেদী হাসান। এরপর ওয়ালটনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন ইমরুল। কিন্তু সেখানে আঘাত হানেন ওয়াহাব রিয়াজ। ১৬ বলে ২৫ করা ওয়ালটনকে ফেরেন এই পাক বোলারের শিকার হয়ে।
এরপরেও নিজের মত করে খেলা চালাতে থাকেন ইমরুল। তাকে সঙ্গ দিতে এসেই সাজঘরে ফিরতে হল রায়ার্ন বার্লকে। ১৩ রানে তাকে ফিরিয়ে দেন ওয়াহাব রিয়াজ। এরপর জয়ের বাকি কাজটা সারেন ইমরুল কায়েসই। নুরুল হাসান সোহানের সাথে মিলে ৮ বল হাতে রেখেই দলকে এনে দেন ৬ উইকেটের জয়। সেই সাথে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। ইনিংস শেষে অপরাজিত থাকেন ইমরুল কায়েস (৫৪) এবং নুরুল হাসান (৫)। ঢাকার হয়ে দুইটি উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ।
চিত্রদেশ//এস//