স্বাস্থ্য কথা

টিকা গ্রহীতাদের জন্য অ্যাপ করছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা পাবে বলে আশা করছে সরকার। এজন্য সরকার টিকা গ্রহীতাদের তালিকা তৈরি করতে এবং টিকা পেতে নিবন্ধনের জন্য একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ তৈরি করছে।

এই অ্যাপে টিকা গ্রহীতার নাম, বয়স, পেশা, প্রতিষ্ঠানের নাম এবং এলাকা উল্লেখ করতে হবে। আর এই তালিকা দেখে বয়সের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে।

এছাড়া টিকার অ্যাপে জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। পরে অ্যাপেই চূড়ান্তভাবে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তবে নিবন্ধন শুধু অনলাইনে নাকি সরকারের সরবরাহ করা ফরম পূরণ করেও করা যাবে সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

টিকার তালিকা তৈরির সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচির নির্দেশনায় এবং সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি ডিভিশন) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের সহযোগিতায় তালিকা তৈরির একটি পদ্ধতি ঠিক করা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সেটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলে পদ্ধতিটি জেলা ও উপজেলায় পাঠিয়ে দেয়া হবে। এরপর আগামী ১০ দিনের মধ্যে তালিকা সম্পূর্ণ করতে।

এবিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, টিকার তালিকার জন্য সম্পূর্ণ আলাদা একটা ডাটাবেজ হচ্ছে। সেটার জন্য আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা কাজও শুরু করেছি।

এদিকে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট এবং কোভ্যাক্সের আওতায় আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা পাবে বলে আশা করছে সরকার।

গরিব দেশগুলোও যাতে টিকা পায়, সেই লক্ষ্যেই গত এপ্রিলে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি বা কোভ্যাক্স নামের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস বা সিইপিআই। আসছে নতুন বছরে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশে ১৩০ কোটি ডোজ টিকা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য টিকা সরবরাহ করবে তারা।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী তিন কোটি এবং কোভ্যাক্সের আওতায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে আরো আড়াই কোটি টিকা পাওয়া যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেবে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষকে। তাতে করে মোট মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন বাংলাদেশ জুনের ভেতরে পেয়ে যাচ্ছে। কোভ্যাক্সের প্রতিশ্রুত টিকা মে এবং জুন মাসের ভেতরে পাওয়ার আশা করছি।

 

চিত্রদেশ//এফ//এল//

Related Articles

Back to top button