প্রযুক্তি

গ্রামীণফোনকে ২০০০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার:

গ্রামীণফোনের কাছে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। তিন মাসের মধ্যে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে গ্রামীণফোনকে। এই দুই হাজার কোটি টাকা গ্রামীণফোন যদি না দেয় তাহলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে না বলেও আদেশে বলা হয়েছে।
রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ১৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ গ্রামীণফোনকে কোনো ফোরামে মধ্যস্থতা না করার নির্দেশ দিয়ে ২৪ অক্টোবর আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও খন্দকার রেজা-ই রাকিব।
গ্রামীণ ফোনের আইনজীবী মেহেদী হাসান চৌধুরী আদেশের পর বলেন, ২ হাজার কোটি টাকা বিটিআরসিকে পরিশোধের জন্য আদালত গ্রামীণফোনকে ৩ মাস সময় দিয়েছেন।
বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব বলেন, আজকের আদেশের ফলে গ্রামীণফোনকে আপাতত ২ হাজার কোটি টাকা দিতে হচ্ছে।
প্রায় ২৭টি খাতে ১২ হাজার ৫৮০ (বিটিআরসির ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি ও এনবিআরের ৪ হাজার ৮৬ কোটি) টাকা পাওনা হিসেবে দাবি করে গ্রামীণফোন লিমিটেডকে ২ এপ্রিল চিঠি দেয় বিটিআরসি। ওই পাওনা দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে গ্রামীণফোন নিম্ন আদালতে একটি মামলা করে ও পাওনা দাবির অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চায়।
২৮ আগস্ট ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন নামঞ্জুর করে। এর বিরুদ্ধে গ্রামীণফোনের পক্ষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। এর গ্রহণযোগ্যতার শুনানি নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং ওই অর্থ আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন।
এ আদেশ স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আবেদন করে, যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে।
আপিল বিভাগ শুনানিতে বিটিআরসির পাওনা দাবির প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে গ্রামীণফোন এখন কত টাকা দিতে পারবে, তা জানতে চেয়েছিলেন।
শুনানিতে গ্রামীণফোনের আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, অর্থমন্ত্রীসহ দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ৩ অক্টোবরের অনুষ্ঠিত সভায় দুই কিস্তিতে ২০০ কোটি টাকা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। তবে শর্ত ছিল, গ্রামীণ ফোনের ওপর বিটিআরসির আরোপ করা সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা তুলে নেয়া হবে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হতে পারে।
অন্যদিকে, বিটিআরসির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম বলেন, অন্তত পাওনার ৫০ ভাগ অর্থ গ্রামীণফোন জমা দিক। তারপর কমিটির মাধ্যমে বাকি অর্থ পরিশোধ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

চিত্রদেশ//এলএইচ//

Related Articles

Back to top button