লাইফস্টাইল

খাবারে বিষক্রিয়ার লক্ষণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
খাদ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ বা ‘ফুড পয়জনিং’ ঘটে মূলত নষ্ট হওয়া খাবার বা পানীয় গ্রহণের পর। কারণ নষ্ট খাবার খেলে তা হজম হয় না; ফলে শরীর অসুস্থ হয়।

খাবার রান্না, প্রক্রিয়াজাত করার সময় কিংবা সংরক্ষণের ভুল থেকে তাতে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান সংক্রমণ ঘটায়। খাবার খাওয়ার পর এই জীবাণু পরে হজমতন্ত্রে প্রবেশ করে অন্ত্র ও পাকস্থলীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে।

এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার খাওয়ার কারণেও খাদ্যে বিষক্রিয়া হতে পারে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো খাবারে বিষক্রিয়া সম্পর্কে-

যেভাবে খাবার সংক্রমিত হয়

সব ধরনের খাবারেই জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। তবে রান্নার সময় রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু তাপে ধ্বংস হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই যে কোনো খাবার কাঁচা খাওয়ার ক্ষেত্রে খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি।

আবার রান্না করা খাবারও ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তা খাওয়ার সময় আবার গরম না করলে কিংবা তা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হলে তা থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে।

তাই খাবার গরম খাওয়া এবং যে কোনো খাবারের সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতি জানা প্রয়োজন।

অনেকসময় খাবার রান্না ও পরিবেশনের সময় হাত পরিষ্কার না করার কারণেও সেই খাবার সংক্রমিত হতে পারে।

খাবারে বিষক্রিয়ার লক্ষণ

খাদ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণ নির্ভর করবে কোন জীবাণুর সংক্রমণ ঘটেছে তার ওপর। খাবারে বিষক্রিয়া হলে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত উপসর্গগুলো হলো- বমিভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, খাওয়ার রুচি হারানো, শারীরিক দুর্বলতা, হালকা জ্বর ইত্যাদি।

সাধারণত খাদ্যে বিষক্রিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়া শুরু করে সংক্রমিত খাবার খাওয়ার কয়েক দিন পর থেকে। এই সময়সীমাও নির্ভর করবে রোগী কী ধরনের জীবাণুর আক্রমণের শিকার হয়েছে তার ওপর।

‘এন্টামোয়িবা’য়ের সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিতে সময় লেগে যেতে পারে এক থেকে চার সপ্তাহ।’

চিকিৎসা

কোন জীবাণুর আক্রমণের শিকার হয়েছেন তা জানতে হলে মল পরীক্ষা করতে হবে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার চিকিৎসা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই করে ফেলা সম্ভব।

এ সময় তেল মসলা ছাড়া খাবার, রুটি, আপেল, ভাত ইত্যাদি দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে পারেন।

চিত্রদেশ//এফ//

Related Articles

Back to top button