গল্প-কবিতা

কানিজ কাদীরের ভ্রমণ কাহিনি-‘মাদুরাই'(৭ম পর্ব)

ফোন এক্টিভেট করার সাথে সাথে আমার নাম্বারে রিং বেজে উঠলো। বাংলাদেশে সবাইকে ফোন করে জানালাম আমি ভালভাবেই মাদুরাই পৌঁছেছি।রুমে এসে ফোনে মেসেজ পেলাম। দেখলাম ফোনের ব্যালেন্স এতক্ষণে ১০০ টাকার বেশি কথা বলা হয়ে গেছে। বুঝতে পারলাম পার মিনিটে বাংলাদেশে কথা বললে ফোনের বিল অনেক কাটা যাবে।ফোন করতে পেরে শান্তি লাগছিল। রাতের খাবারের জন্য আবার অন্নপূর্ণা হোটেলে গেলাম। দোসা ও চা খেলাম এরপর রুমে এলাম। একা একা রুমে একটু ভয় ভয় লাগছিল। জানালার পর্দা ভাল করে টেনে দিলাম।ফ্রেস হয়ে টেলিভিশনের রিমোট টিপতেই শুধু তামিল ছবির গান, নাচ ভেসে আসছিল। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। শুধু চ্যানেল ঘোরাচ্ছিলাম কােথাও বাংলা বা ইংরেজী চ্যানেল আছে কিনা। বাংলা কোন চ্যানেল নাই।স্টারমুভি চ্যানেল আছে। হিন্দি দু’একটা চ্যানেল আছে। বাকী সব তামিল ।তামিল ভাষা ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যে এত সমৃদ্ধ তা না দেখলে বুঝতেই পারতাম না। খুব টায়ার্ড ছিলাম। কাজা নামাজ পড়ে নিলাম সব। সকালে আবার নিজেকে ইন্ট্রোডিউস করতে হবে। এ চিন্তাই করছিলাম। সব কিছুর পারেও আমার মা আমার প্রতিটা মুহূর্তের চেতনায় সঙ্গী হয়ে যেন আমাকে আবিষ্ট করে রাখছিল।রাতে ঘুম ভাল হচ্ছিল না। বেশ কয়েকবার জেগে উঠে ঘড়ি দেখছিলাম কটা বাজে।

ভোরে উঠে ফজরের কসর নামাজ পড়ে নিলাম।আম্মা-আব্বা, সবার জন্য দোয়া করলাম। চোখ দিয়ে পানি এসে গেল।আম্মার বলা নানা কষ্টের কথাগুলো আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছিল।

চোখ-মুখ ধুয়ে নিজেকে শান্ত করে নীচে নামলাম। ক্যাফেটেরিয়ায় যেয়ে নাস্তা নিলাম প্লেটে। দেখলাম বেশ কিছু নিগ্রো ছেলে খাচ্ছে। বেশ কয়েকটা গোল ডাইনিং টেবিল ও চেয়ার দেয়া আছে । এখানে সব খাবার স্টিলের পাত্রে দেয়া হয়।নানা রকমের রান্না করা জিনিস। ব্রেড,স্যুপ, মাখন, চিনি আর পাকা পেপে দেয়া আছে। সকালের নাস্তা খেলাম স্টিলের থালায়। এদের সব আসবাব পাত্র স্টিলের। থালা, বাটি, গ্লাস, জগ সব স্টিলের।

(চলবে)

 

লেখক: কানিজ কাদীর

Related Articles

Back to top button