লাইফস্টাইল

করোনা থেকে বাঁচতে খাবারে ভিটামিন ডি যোগ করার পরামর্শ

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রুটি ও দুধের মতো সাধারণ খাদ্যে ভিটামিন ডি যোগ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।

চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষক ড. গ্যারেথ ডেভিসের নেতৃত্বাধীন একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ভিটামিন ডি স্বল্পতায় ভুগছে।

কয়েকটি গবেষণা তথ্য অনুসারে, ভিটামিন ডির মাত্রা কম থাকলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কিংবা আক্রান্ত হলে বেশি তীব্র লক্ষণে ভোগার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূর্যের আলোর প্রতিক্রিয়ায় মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে সূর্যের আলোর তীব্রতা কম থাকায় এই সময়ে দেশটির নাগরিকদের তেলযুক্ত মাছ ও ডিমের মতো অন্য উৎসের প্রতি নির্ভর করতে হয়।

গত সপ্তাহে স্পেনে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২১৬ করোনা রোগীর ৮২ শতাংশই ভিটামিন ডি স্বল্পতায় ভুগছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিড-১৯, ফ্লু কিংবা অন্য শ্বাসযন্ত্রে রোগের ওপর ভিটামিন ডির স্বল্পতার প্রভাব খুবই সামান্য কিংবা একেবারেই নেই। ভিটামিন ডির স্বল্পতায় শিশুদের রিকেট রোগ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের হাড় নরম হয়ে যেতে পারে।

এ ছাড়া শিশুরা তীব্র স্বল্পতায় ভুগলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে, যা থেকে খিঁচুনি এবং হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ড. গ্যারেথ ডেভিস বলেন, ভিটামিন ডি কেবল রোগের তীব্রতা থেকেই সুরক্ষা দেয় না; বরং সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে। খাবারে এটি যোগ করার আগে এর কার্যকারিতা নিয়ে সতর্ক পরিকল্পনা করতে হবে।

এই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আরও বলেন, বর্তমান নীতি যে কাজ করছে না তা স্পষ্ট, অন্তত অর্ধেক জনগোষ্ঠী ভিটামিন ডি স্বল্পতায় ভুগছে।

লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আদ্রিয়ান মার্টিনেউ এমন একটি পরীক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যাতে দেখা হবে যে ভিটামিন ডি আসলেই কোভিড ১৯-এর ঝুঁকি কিংবা তীব্রতা কমাতে পারে কিনা। শীতকালজুড়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালাবে তার দল।

ব্রিটিশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খাদ্যপণ্যে ভিটামিন ডি যোগ করার স্বাধীনতা কোম্পানিগুলোর রয়েছে। আর ইতিমধ্যে খাদ্যশস্যের মতো বেশ কিছু খাবারে তা যোগও করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এই বছরের শরৎ ও শীতে দেশটির মানুষকে অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button