![](https://chitrodesh.com/wp-content/uploads/2020/03/image-112286-1584760170.jpg)
করোনা আতঙ্কের মধ্যে তিন আসনে ভোট শুরু
স্টাফ রিপোর্টার:
ছোঁয়াচে প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার জন্য থমকে গেছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু ভয়াবহ এ পরিস্থিতির মধ্যেই ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বারবার জনসমাগমের ওপর বিধিনিষেধের আরোপের কথা বললেও এই তিন আসনের নির্বাচন থেকে পিছপা হয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এই তিন আসনে মোট ভোটার ১০ লাখ ১৭ হাজার ৭৮৯ জন। তিনটি আসনের মধ্যে ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে। অন্যদিকে গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন হবে ব্যালেটের মাধ্যমে।
এদিকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ করা হলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘ইভিএম মেশিনে ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে একই মেশিনে অসংখ্য মানুষের আঙুলের চাপ পড়ে। এ কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি ইভিএম মেশিনে ভোট দেন তাহলে তার মাধ্যমে এটি অনেকের মাঝে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।’
ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনের জন্য শুক্রবার (২০ মার্চ) রাজধানীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে এই আসনের ভোটকেন্দ্রভিত্তিক মালামাল বিতরণ করা হয়। সেখানেও ব্যাপক লোক সমাগম হয়।
এদিকে নির্বাচনকালীন ভোটারদের করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে এবং ভোট দেয়ার পর হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর। এছাড়াও ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং সচেতনতামূলক ব্যানার টানানো থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ঢাকা-১০ আসন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত। এই আসনের মোট ভোটার তিন লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১১৭টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭৭৬। এই নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগ থেকে মো. শফিউল ইসলাম, বিএনপির শেখ রবিউল আলম, জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের কাজী মুহাম্মদ আবদুর রহিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মিজানুর রহমান।
বাগেরহাট-৪- এই জেলার মোড়লগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে এই আসন। এতে মোট ভোটার দুই লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৪ জন। ভোটকেন্দ্র ১৪৩টি এবং ভোটকক্ষ ৬২৯। এই নির্বাচনে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগে মো. আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টি থেকে সাজন কুমার মিস্ত্রী।
গাইবান্ধা-৩- এই জেলার সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন। এতে মোট ভোটার চার লাখ আট হাজার ৭৪ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩২ এবং ভোটকক্ষ ৭৮৬টি। এই নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বিএনপির অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক, জাতীয় পার্টির মইনুল রাব্বী চৌধুরী এবং জাসদের এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি।
চিত্রদেশ//এফ//