লাইফস্টাইল

করোনায় ঈদ : যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

ঈদুল আজহার আনন্দকে ছাপিয়ে যাচ্ছে করোনাকালের মন খারাপ। পরিচিত পৃথিবীর বদলে যাওয়া অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা সবার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন সুস্থ থাকার আশায়। তবু আক্রান্তেও সংখ্যা কমছে না, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। প্রাণঘাতি এই ভাইরাস কবে বিদায় নেবে, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। এমন আতংক আর মন খারাপের সময়েও ঈদ এসেছে। এই ঈদকে আনন্দচিত্তে বরণ করার মতো মানসিক অবস্থা নেই অনেকেরই। তবু যতটা ইতিবাচক হয়ে বাঁচা যায়! সময়ের নিয়মে ঈদ এলেও আপনাকে থাকতে হবে আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন। এই ঈদে কিছু করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন-

সচেতন থাকুন: সবার আগে যা দরকার, তা হলো সচেতনতা। সচেতনতার অভাবে যেকোনো সময়েই বড় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই শুধু করোনার সময়েই নয়, মানুষের প্রতিটি মুহূর্তেই সচেতন থাকা জরুরি। যেহেতু এখন চারদিকে জীবাণুমুক্ত থাকার লড়াই, সেই লড়াইসে শামিল হতে হবে আপনাকেও। কুরবানির পশু জবাইয়ের পর সেখানে জীবাণুদের আস্তানা গাড়তে দেবেন না। যত দ্রুত সম্ভব সেই জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করে ফেলুন। একই কাজ করতে হবে মাংস কাটাকুটি এবং রান্নার পরেও। পরিচ্ছন্নতার কারণে আপনি সব ধরনের অসুখ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

খাবার: ঈদের আনন্দের একটি অংশ হলো মজাদার সব খাবার। ঈদ মানেই কবজি ডুবিয়ে খাওয়া। তবে সেখানেও লাগাম টানতে হবে এবার। সংক্রমণ ঠেকাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এমন সব খাবার খেতে হবে, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই শুধু স্বাদের দিকে নয়, খেয়াল রাখতে হবে পুষ্টির দিকেও। তেল-ঝোল সমৃদ্ধ অতিরিক্ত মশলাদার খাবার যত কম খাবেন, ততই ভালো। ঈদে মাংস নাহয় অন্য সময়ের থেকে একটু বেশিই খেলেন, পাশাপাশি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারও খেতে হবে। হাঁটা আর শরীরচর্চার পরিমাণ আরেকটু বাড়িয়ে দিন, তাহলে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরে যাওয়া সহজ হবে।

অতিথি: সচেতন কেউ এই করোনাকালে অতিথি হয়ে অন্যের বাড়িতে যাবেন না নিশ্চয়ই। তবে সবাই তো আর সমান সচেতন নয়। আপনি কারও বাড়িতে না গেলেও, আপনার বাড়িতে চলে আসতে পারেন কেউ কেউ। অতিথি যদি এসেই পড়েন, তখন নিশ্চয়ই তাকে বিমুখ করা যায় না! তাই তাকে ঘরে প্রবেশের আগেই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করুন। খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার সাথে সাথেই এঁটো থালা-বাসন ধুয়ে রাখার ব্যবস্থা করুন।

মাংস সংরক্ষণ: নিজেদের ভাগের কুরবানির মাংস থেকে যদি কিছু অংশ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে চান, তবে সেক্ষেত্রেও হতে হবে সচেতন। মাংসের সঙ্গে সঙ্গে জীবাণুও যেন ফ্রিজে ঢুকে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাংস ভালোভাবে পরিষ্কার করে, পরিষ্কার প্যাকেটে সংরক্ষণ করুন।

সাহায্য: কুরবানিকৃত পশুর এক তৃতীয়াংশ বরাদ্দ থাকে দরিদ্রদের জন্য। এবার যেহেতু মহামারীর সময়, তাই অনেকেই সামর্থ্যহীন হয়ে পড়েছেন। সম্ভব হলে তাদের জন্যও একটি অংশ বরাদ্দ রাখুন। মনে রাখবেন, ঈদ মানেই সাম্যের বার্তা। ঈদ মানেই ভেদাভেদ না থাকা। আপনার একটুখানি সাহায্যই হয়তো অনেকের মুখে হাসি ফোটাবে।

চিত্রদেশ/এস//

Related Articles

Back to top button