প্রধান সংবাদ

করোনায় একদিনে মৃত্যু ৩৪, শনাক্ত ৩৫০৪

করোনাভাইরাসে দেশে নুতন করে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৫০৪ জন। শনিবার করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

দেশে ৫৮টি ল্যাবে পরীক্ষা তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১৫ হাজার ৫৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ১৫৭টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ১২ হাজার ৯৮টিতে। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ৩৫০৪ জন। এ নিয়ে সর্বমোট এক লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮ জন ভাইরাসটিতে সংক্রমিত শনাক্ত হলেন। এসময় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটির সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৬৯৫ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক হাজার ১১৮৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজার ৩১৮ জন।

এর আগের দিন ১৮ হাজার ২৭৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৪৯৮টি। সংক্রমণ শনাক্ত হয় ৩৮৬৮ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ, তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ পুরুষ এবং দুজন নারী। তাদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সসীমার সাতজন রয়েছেন।

মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই বাসিন্দা রয়েছেন ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে ৪জন করে, রংপুরে দুজন এবং খুলনা বিভাগের একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ৪ জন।

বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

চিত্রদেশ //এল//

Related Articles

Back to top button