প্রধান সংবাদ

কমেছে জীবাণুনাশক ছিটানো, বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি

স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বেশ ঘটা ক‌রে জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজ শুরু করেছিলো। রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অবহেলিত গলি পর্যন্ত ছিটানো হয় জীবাণুনাশক। আর এই কাজে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি অংশ নেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও।

ত‌বে বেশ ক‌য়েক‌দিন ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে- জীবাণুনাশক ছিটা‌নোর কা‌জে গা‌ফিল‌তি। যার ফলে সংক্রমণঝুঁকি বাড়‌তে পা‌রে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশে করোনার প্রাদুভার্বের পর গত ১৪ মার্চ থেকে নগরীতে শুরু হয় জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজ। শুধু ঢাকার দুই সি‌টি করপোরেশন নয়, সামরিক বা‌হিনী, ফায়ার সার্ভিস, পু‌লিশসহ বি‌ভিন্ন বা‌হিনী ও সংস্থা রাজধানী‌তে জীবাণুনাশক ছিটা‌নোর কার্যক্রম প‌রিচালনা ক‌রে। ত‌বে দিন বাড়ার সঙ্গে ক‌মে‌ছে কার্যক্রম।

অন্যদিকে রাজধানীর শপিংমলগুলো চালু করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় জীবানুনাশক ‌ছিটা‌নো কার্যক্রম আরো জোরদার করা না হ‌লে সংক্রমণ শঙ্কা থে‌কেই যা‌চ্ছে।

রাজধানীর বি‌ভিন্ন এলাকাবাসীর অভিযোগ, নগরীতে প্র‌তি‌দিনই ক‌রোনাভাইরা‌স শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হু হু ক‌রে বাড়‌ছে, সেই সঙ্গে বাড়‌ছে মৃত্যু। তাছাড়া লকডাউন শি‌থিল করায় মানু‌ষের চলাচলও বে‌ড়ে‌ছে। ফ‌লে নিয়‌মিত জীবাণুনাশক ছিটা‌নো না হ‌লে মারাত্নক ক্ষ‌তির শঙ্কা থে‌কে যা‌চ্ছে।

এ ব্যাপারে কথা হয় রাজধানীর লালবাগ এলাকার মু‌দি ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলামের সঙ্গে।
তি‌নি ব‌লেন, ‘গত মা‌সে দু’একবার জীবাণুনাশক ছিটা‌তে দে‌খে‌ছি। প‌রে আর দে‌খি‌নি। জীবাণুনাশক ছিটালে ভাইরাস ছড়া‌নো ক‌মে যে‌তে পা‌রে।’

মোহাম্মদপু‌রের আদাবর এলাকার স্থানীয় বা‌সিন্দা আব্দুর রউফ ব‌লেন, ‘গাড়ি‌তে করে স্প্রে করতে দেখেছি। ত‌বে সেটা সি‌টি করপোরেশন না‌কি ফায়ার সা‌র্ভিস বা অন্য কোনো সংস্থা ক‌রে‌ছে সেটা বল‌তে পার‌বো না। তবে বেশ ক‌য়েক‌দিন ধ‌রে নিয়‌মিত স্প্রে করা হচ্ছে না।’

ঢাকার আসাদ‌গেট এলাকায় মিরপুর রোড সংলগ্ন এক‌টি মা‌র্কে‌টের সিকিউরিটির দা‌য়িত্ব পালন ক‌রেন ম‌নির হো‌সেন। তি‌নি ব‌লেন, ‘প্রায় প্র‌তি‌দিন গা‌ড়ি‌তে ক‌রে মেইন রো‌ডে স্প্রে ক‌রে। ভেতর রোডগু‌লো‌তে ক‌রে কিনা জানা নেই।’

এদিকে সংক্রমণঝুঁকি বে‌ড়েই চ‌লে‌ছে। দেশে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯২৯ জনে। এছাড়া নতুন করে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু ১৮৩ জন। সুস্থ হ‌য়ে‌ছেন আরও ১৯৩ জন। এ নি‌য়ে মোট সুস্থ হ‌য়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৪০৩ জন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বি‌শেষজ্ঞরা।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button