কক্সবাজার-বান্দরবানে আকস্মিক বন্যার শঙ্কা
স্টাফ রিপোর্টার:
ভারি বৃষ্টির কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। একইসঙ্গে বান্দরবানে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকা এবং দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। ফলে এ সময়ে দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকার এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকার নদীগুলোর পানি সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার কয়েক স্থানে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতলে স্থিতিশীল থাকতে পারে। অন্যদিকে যমুনা নদীর পানি কমা অব্যাহত থাকতে পারে।
‘গঙ্গা নদীর পানি বাড়ছে। অন্যদিকে পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। মনু ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার সব প্রধান নদীর পানি কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।’
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মাতামুহুরী নদীর পানি বান্দরবানের লামা স্টেশনে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় টেকনাফে ৩২৮, লামায় ১৩২, চট্টগ্রামে ৬৮, পটুয়াখালীতে ২৫২, কক্সবাজারে ১১৫, বরগুনায় ২৫০, নোয়াখালীতে ৫২, সাতক্ষীরায় ৭০ ও হরিদাশপুরে ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
চিত্রদশ//এফটি//