প্রধান সংবাদ

এবার রাজশাহী লকডাউন

রাজশাহী প্রতিনিধি:
এবার রাজশাহী শহরকে লকডাউন করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা রক্ষায় আরো কঠোর হবে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ জার্নালকে এ তথ্য জানান আরএমপি কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, রাজশাহী শহর আগে থেকে লকডাউন রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিশ ও প্রশাসন আরো কঠোর হবে।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভাগীয় সমন্নয় সভা থেকে রাজশাহী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সমন্নয় সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন খন্দকার, জেলা প্রশাসন হামিদুল হক প্রমুখ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যাতে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে না পারে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সেনাবাহিনী ও পুলিশ কড়া সতর্ক অবস্থান নিয়েছে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে। সামাজিক দূরুত্বের কথা মাথায় রেখে শহরে বাইরের কোনো যানবাহন ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। রাজশাহীর অদূরে বেলপুকুর ও কাটাখালিতে বসানো হয়েছে দুটি চেকপোস্ট আর নওদাপাড়া ও কাশিয়াডাঙ্গাতেও বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট।

এদিকে, জেলা থেকেও সন্ধ্যা ছয়টার পরে আর কাউকে বের হতে দেয়া হবে না, বা ঢুকতেও দেয়া হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই লকডাউন থাকবে।

অন্যদিকে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে করোনা চিকিৎসা টিমের আহ্বায়ক ডা. আজিজুল হক আজাদ বলেন, রাজশাহীর আইডি হাসপাতলে আরো একজনকে আইসোলেশন রাখা হয়েছে। নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে আসা ১৮ বছরের কিশোরকে স্থানীয় সিভিল সার্জন প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ করোনা পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। আর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় খ্রিস্টান মিশন হাসপাতালের নার্সকে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, রামেক হাসপাতালের অবজারভেশন ওয়ার্ডে ৫ জন রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ছেড়ে দেয়া হবে। আশা করা হচ্ছে বাকি দুজনকে আগামীকাল মঙ্গলবার ছেড়ে দেয়া হবে।

ল্যবটিন প্রধান ডা. সাবেরা গুলনেহার জানিয়েছেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের করোনা পরীক্ষাগারে আজ ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগের ৩১টি নমুনার মধ্যে আছে রাজশাহী জেলার ৬টি, বগুড়ার ৬টি, নবাবগঞ্জের ১০টি, নাটোরের ৮টি ও নওগাঁর ১টি। এদিকে ১ এপ্রিল চালুর পর মোট ৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো ল্যাবটিতে।

এর আগে রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা, সদর ও বন্দর উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিলো। ফলে ৬ এপ্রিল থেকে কেউ অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। কেউ অহেতুক বাসা থেকে বের হলে তার উপর প্রশাসনের কঠোর অ্যাকশন চলবে।

 

চিত্রদেশ//এল//

 

Related Articles

Back to top button