একা থাকার দিন আজ
লাইফস্টাইল ডেস্ক
সিঙ্গেল মানেই নির্ভেজাল নির্বিবাদী জীবন। ঝাড়া হাত-পা। গায়ে হাওয়া লাগিয়ে নিজের মতো নিজের জীবনকে যাপন। সুতাবিহীন ঘুড়ির মতো খোলা আকাশে উড়ে বেড়ানো। কারও কাছে জমা দেওয়া নেই ঘুড়ির নাটাই। নেই কোনো কৈফিয়তের ঝামেলা। অনেক বিষয়ের জটিলতা থেকে মুক্ত থাকেন তারা। কারও মনে হয়ত প্রেমহীনতার আফসোস থাকে, আবার কেউ থাকেন খোশমেজাজে। একা থাকাকে উপভোগ করছেন।
একা থাকার আনন্দ একবার যারা পেয়ে যান, পেয়ে যান স্বাধীনতার সুখ, কিছুতেই তারা প্রথাগত প্রেমের শৃঙ্খলে বাঁধা পড়তে চান না। আবার অনেকে প্রেয়সীর আঘাত কিংবা প্রিয়তম না করে দেওয়ার ভারে অনেকে হয়েছেন বিমর্ষ। কিন্তু তাতে অবশ্য জীবন থমকে যাওয়ার কথা নয়। প্রত্যাখ্যানের যন্ত্রণা নিয়ে বিরহী মনকে শুধু দুঃখের গানের মধ্যেও আটকে ফেলা সম্ভবত উচিত হবে না। বরং আপনি যে একা, আপনার যে একাকিত্ব সেটিকে বরং উদযাপন করুন আজ। আজকের তারিখের দিকে একটু মনোযোগ দিলেই দেখবেন একাকিত্বের যে উজ্জ্বলতা, তার ছাপ রয়ে গেছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) ‘সিঙ্গেল ডে’ অর্থাৎ একা থাকার দিন আজ। যারা এই একা থাকাকে চুটিয়ে উপভোগ করছেন আজকের দিবসটি তাদের জন্যই।
দিনটির গোড়াপত্তনও হয়েছিল চীন থেকে। তাই একা থেকে এই দিনটি উদযাপন করা যেতে পারে। চীনের মানুষ তা ঠিকই করছেন। এই দিবসটি চালু করাই হয়েছে যেন, মানুষ একা থাকার জন্য গর্ব করতে পারেন, একা থাকাকে ভালোভাবে উদযাপন করতে পারেন। এখন বিশ্বের অনেক জায়গায় দিবসটি উদযাপিত হয়।
‘ডেজ অব দ্য ইয়ার’র তথ্য অনুসারে, দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল নিঃসঙ্গ শিক্ষার্থী, যারা ভালোবাসা চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন কিংবা সম্পর্কের টানাপড়েনে নিঃসঙ্গতা বেছে নিয়েছিলেন, তাদের হাত ধরে শুরু একা থাকার দিন উদযাপন হয়।
এই দলের সবাই ভালোবেসে ব্যর্থ হলেও জীবনের প্রতি ছিল তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। তাই ভাবলেন, ভালোবাসার মানুষের জন্য বিলাপের বদলে একা থাকাকে উদযাপন করবেন দারুণ ছন্দে।
তাই ১৯৯৩ সালের ১১ নভেম্বরকে বেছে নিলেন তারা। যুক্তি? রোমান হরফে ১১ নভেম্বরকে লেখা হয় ১১-১১। এক মানেই একক, একা। কিন্তু লাঠির মতো দেখতে চারটি এক মিলে যেন সম্মিলিত শক্তি, জীবনকে উপভোগের নতুন প্রেরণা।
তাই ভালোবাসা কিংবা ভ্যালেন্টাইনস ডে বিরোধী একটি আয়োজন ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। আনন্দ উদযাপন, বন্ধুদের সঙ্গে মজা করে দিনটি কাটাতে চান নিঃসঙ্গ মানুষেরা।
টমাস ও রুথ রয় নামের দুজন ভদ্রলোকের উদ্যোগে দিনটির প্রচলন হয়। তবে কবে থেকে এটি পালিত হচ্ছে, জানা যায় না।