প্রধান সংবাদসাক্ষাৎকার

একজন আধ্যাত্নিক চিন্তা ও দর্শনের কবি ‘মো: মেহেবুব হক’

কবি মো: মেহেবুব হক ছোটবেলা থেকেই তিনি সাহিত্যনুরাগী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি লেখালেখি করতেন। তবে কর্মজীবনে প্রবেশের পরই তার সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ হতে থাকে এবং ২০১৯ সাল হতে তার প্রকাশনা শুরু হয়। তিনি প্রেম, বিরহ, দ্রোহ, সুফিজমসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে ব্যস্ত সময় পার করেন। এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১০ টি।

কবি মোঃ মেহেবুব হক। পেশায় একজন কাস্টমস কর্মকর্তা হলেও তিনি মূলত মানবতার কবি। মেহেবুবহক মানব প্রেম এবং মানবতা নিয়ে লিখে চলেছেন অবিরাম। স্ত্রী আর সন্তানের অনুপ্রেরণায় মূলত তার লেখালেখির জগতে আসা। মানবতার কবি লিখে চলেছেন মানুষের কথা। মানুষ হয়ে মানবীয় গুণাবলি অর্জন করে প্রকৃত মানুষ হতে না পারলে মানবজীবনের সার্থকতা থাকে না- সেই বোধশক্তি জাগ্রত করার জন্য তিনি বারবার সমাজের মানুষকে আহ্বান করেছেন তাঁর কবিতার ছন্দে।

ইতিমধ্যে কবি মেহেবুব হক, কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত “জাতীয় সাহিত্য উসব-২০২৩” অনুষ্ঠানে কাব্যসাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ‘জাতীয় সাহিত্য পুরস্কার’ ও সনদপত্র পান। এছাড়াও ত্রৈমাসিক সাহিত্য দিগন্ত কর্তৃক আয়োজিত ‘সাহিত্য দিগন্ত লেখক পুরস্কার-২০২৩’ এর ‘বর্ষসেরা কবি-২০২২’, ৮ম ‘ফ্রেন্ডস অব হিউম্যানিটি আ্যওয়ার্ড-২০২৩’ এর ‘বর্ষসেরা কবি-২০২২’ পুরস্কার, ফ্রেন্ডস অব হিউম্যানিটি আ্যওয়ার্ড-২০২৩’ এছাড়াও কবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যাওয়ার্ড 2023 , সম্মাননা সনদসহ ফেলোশীপ অর্জন করেন ।

কবির একাধিক কাব্যগ্রন্থ ‘প্রজ্ঞার আলো’ ‘তুমি ভালো থেকো’ ‘ভালোবাসার অচিন পাখী’‘মুগ্ধতার অন্তহীন দিগন্তে’ ‘ভালোবাসার নীলপদ্ম’ ‘নিরন্তর তুমি’ ‘মানবতার দর্পণ’ ‘নীল প্রজাপতি’ ‘নাতে রাসুল(সা:)’ ‘মহা মানব’ ও ‘ঐশী ছোঁয়া’। অনিন্দ্য প্রকাশ ও পারিজাত প্রকাশনী থেকে কাব্যগ্রন্থগুলো প্রকাশিত হয়েছে।

এবারের অমর একুশে বইমেলায় কবি মো:মেহেবুব হকের নতুন কাব্য গ্রন্থ ‘প্রজ্ঞার আলো’। বইটি প্রকাশ করেছেন অনিন্দ্য প্রকাশ, প্যাভিলিয়ন-২০ এবং ‘তুমি ভালো থেকো’ বইটি প্রকাশ করেছেন পারিজাত প্রকাশন, স্টল-২৯৮-২৯৯ ।

আধ্যাত্নিক চিন্তা ও দর্শনের আলোকে রচিত ‘প্রজ্ঞার আলো’ গ্রন্থটি পড়ে পাঠক নিজেকে পবিত্রতার শুভ্র চাঁদরে মুড়ে ও আধ্যাত্নিকতার অন্তহীন দিগন্তে, বাস করবে পরম প্রশান্তির প্রেমময় ভুবনে। অন্যদিকে ‘তুমি ভালো থেকো’ কাব্যগ্রন্থে মানুষে মানুষে ভালোবাসার কথা, ভালোলাগার কথা ও মানবতার কথা। এমনই মানবিক অনুভূতির জাগতিক ও আধ্যত্মিক দুটি রূপকেই কবি তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। কবির লেখনীতে যা জ্ঞান পিপাসু চিন্তাশীলদের কাছে এক আলোচনার বিষয়বস্তু হবে।

সম্প্রতি এবারের একুশে বইমেলায় তাঁর নতুন প্রকাশিত দুটি কাব্যগ্রন্থ, কবিতা, কবি জীবন, এবং তাঁর সাহিত্য ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে অনলাইন জাতীয় পত্রিকায়‘চিত্রদেশ’ এর সঙ্গে। তার কবিতা, কবি ভাবনা, ইসলামি চিন্তা, মানবতা, মানবপ্রেম সমাজের অসংগতি প্রভৃতি নিয়ে কথা বলেছেন অকপটে। পাঠকদের জন্য তারই কিছু অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো।

সাক্ষাতকার নিয়েছেন- শেখ লাভলী হক লাবণ্য

চিত্রদেশ: কবিতা লেখার শুরুটা কীভাবে?

মো: মেহেবুব হক: কবিতা লেখার শুরুটা হচ্ছে খুবই ইন্টারেস্টিং। ২০১৮ সালের ঘটনা। আমি আমার স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে একদিন আসছি। হোটেল সোনার গাঁও এর সামনে গাড়িতে বসে আছি। তো হঠাৎ করে আমার স্ত্রী আমাকে বলে উঠল, ‘তুমি তো অধিকাংশ সময় ফেসবুক চালাও তুমি কি লিখালিখি করতে পারোনা।’ আমার ছেলেও একই সুরে বলে উঠলো ‘আব্বু-তুমি তো কবিতা লিখতে পারো। কাব্যগ্রন্থ লিখতে পারো। খুবই ভালো হবে।’ স্ত্রী এবং সন্তানের –এই যে অনুপ্রেরণা আমার হৃদয়ে বেশ দাগ কাটল। তাদের উৎসাহে আমার রক্তে একধরণের শিহরণ বয়ে গেল। এরপর থেকেই যেন কবিতা নিয়ে আমার নিরন্তর পথচলা। আমি লিখতেই চলেছি। লিখেই চলেছি। লিখেই চলেছি। এমনিভাবে আমার পাচঁটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হলো। ২০১৯ সালে প্রথমে ‘ভালোবাসায় নীলপদ্ম’ দিয়ে আমি শুরু করলাম। লিখলাম। আর ২০২০ সাল আসতেই আমার পাচঁটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়ে গেল। এ যেন আমার কাছে মনে হয় বেশ অলৌলিক ঘটনা। সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় আমি পেরেছি। আর পেরেছি আমার স্ত্রী এবং সন্তানের জন্য। আমার স্ত্রী এবং সন্তানের জন্য নিরন্তর শুভ কামনা। কারণ তাদের এই উৎসাহ-অনুপ্রেরণা না থাকলে আমি কখনোই লিখতে পারতাম না।

চিত্রদেশ: আপনি আসলে কোন ধরনের লিখালিখাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?

মো: মেহেবুব হক: আমি আসলে কোন ধরণ বুঝে কোনো কবিতা লিখিনা। আমাদের ব্যক্তি জীবনে, সমাজ জীবনে বয়ে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা যখন আমার মনে নাড়া দেয়, সেটা হতে পারে কোন নৃশংস হত্যা, ধর্ষণ, অন্যায়-অত্যাচার। যেমন আমি আবরার হত্যা, তনু হত্যা নিয়ে লিখেছি। অথবা যেকোন বিদ্রোহের ঘটনা আমাকে যখন খুব নাড়া দেয়। যা মনে কোন অনুভূতির জন্ম দেয় তখনই আমি কবিতা লিখি। আমি হৃদয়ের অনুভূতি থেকে কবিতা লিখি। আমি যখন কবিতা লিখতে বসি। একটা মিউজিক আছে আর্মেনিয়ান মিউজিক, সেই মিউজিকটা চলে আর আমি আমার অনুভূতিগুলোকে অন্তরের অন্তস্থলে নিজের মত করে সেগুলোকে পরিচর্যা করে নিজের মত করে লিখেতে থাকি। তখন হয়ে যায় একেকটা কবিতা।

চিত্রদেশ: এবারের বইমেলায় আপনার কয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

মো: মেহেবুব হক: এবারের ২০২৪ একুশে বইমেলায় আমার দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। একটি কবিতার বই ‘প্রজ্ঞার আলো’ বের হয়েছে অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে। আরেকটি ‘তুমি ভালো থেকো’ বের হয়েছে পারিজাত প্রকাশনী থেকে

চিত্রদেশ: এই পর্যন্ত আপনার কয়টি এবং কী কী কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে?

মো: মেহেবুব হক: আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম হচ্ছে ‘ভালোবাসার নীলপদ্ম’ দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘নিরন্তর তুমি’ তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘মানবতার দর্পণ’ থেকে ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়। ২০২০ একুশে বইমেলায় চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ ‘নীল প্রজাপতি’ অনিন্দ্য প্রকাশ এবং পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ ‘নাতে রাসুল (সা:)’ ‘ভালোবাসার অচিন পাখী’‘মুগ্ধতার অন্তহীন দিগন্তে’ সবগুলোই অনিন্দ্য প্রকাশ ও পারিজাত প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

চিত্রদেশ: আপনার কবিতায় কোন বিষয়গুলো বেশি প্রাধান্য পায়?

মো: মেহেবুব হক: আমার কবিতায় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় মানুষের জীবনের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা প্রেম, ভালোবাসা, দুঃখ,কষ্ট, আবেগ এবং মানবতার দিকটা। প্রত্যেক কবিতার শেষে আমার যেন মনেহয় একজন মানুষের কাছে মানুষের মূল্যায়নটাই সবচেয়ে বেশি। লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা দান করলেও একটা মানুষের মূল্য হবে না। মানবতার মূল্যটাই সবচেয়ে বেশি, সেই কথাই আমি আমার কবিতায় সবচেয়ে বেশি তুলে ধরি।

চিত্রদেশ: দেশের মধ্যে আপনার প্রিয় কবির নাম বলুন? এবং কোন বিষয়টির জন্য আপনার কাছে তার বা তাদের কবিতারগুলো ভালো লাগে?

মো: মেহেবুব হক: আমি যখন ছোটবেলায় কবিতা পড়তাম তখন আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামের কবিতাই আমার মনে সবচেয়ে বেশি দাগ কেটেছে। তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবং আমার সাহিত্য চর্চায় ভিতরে তাদের রেশ রয়েছে। এছাড়াও জীবনানন্দ দাশ, ফখরুখ আহমদ, কবি গোলাম মোস্তফা, মীর মোশাররফ হোসেন, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। আর আধুনিককালে বাংলা কবিদের মধ্যে কবি নির্মললেন্দু গুণ স্যার, কবি হেলাল হাফিজ স্যার উনাদের কবিতা আমি পড়ি। আরো রয়েছেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়, পূর্নেন্দপত্রি, তাদের কবিতার যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি ভালোলাগে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনেক কবিতা, আর বিশেষ করে প্রেম ভালোবাসার বিষয়টা।

চিত্রদেশ: আপনি কোন ধরনের পাঠকদের কথা মাথায় রেখে কবিতা লেখেন?

মো: মেহেবুব হক: আমি যখন লিখি তখন পাঠকদের কথা আমার মনে থাকে না। আমি সব বয়সের জন্যই লিখি।

চিত্রদেশ: কবিতায় কী গল্প বলা যায়? কাহিনী কবিতা বিষয়ে আপনার মতামত কী?

মো: মেহেবুব হক: অবশ্যই । প্রতিটা কবিতাই একেকটা জীবনের গল্প। আসলে একটি কবিতাই কোন একটা জাগতিক কোন একটা বিষয়কে অনেক সুন্দর করে একটি ফ্রেমে ফুটিয়ে তোলা যায়। সে অর্থে বলা চলে একেকটি কবিতা একেকটা ছোট গল্পের মত।

চিত্রদেশ: এই সময়ের কবিদের কবিতা পড়েন? কার কবিতা ভাবায়? মুগ্ধ করে?

মো: মেহেবুব হক: কবি নির্মললেন্দু গুণ ও কবি হেলাল হাফিজের কবিতা।

চিত্রদেশ: আপনার ছেলেবেলা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি? জন্ম? বেড়ে উঠা? পড়াশোনা? কর্মক্ষেত্র?

মো: মেহেবুব হক: যশোরে আমার ছোটবেলা কেটেছে। সেখান থেকেই স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছি। এরপর যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়াশোনা এইচএসসি পাশ। এরপর বুয়েট থেকে বিএসসি পাশ করেছি। এরপর বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছি। আমি তিনবারই সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পেয়েছি প্রথমবার আমি জনস্বাস্থ্যেও ইঞ্জিনিয়ার ছিলাম। (২৯ তম বিসিএস) ৩০তমে আমি এসিসট্যন্ট কমিশনার কাস্টমস ক্যাডারে যোগদান করলাম। তৃতীয়বার ও আমি উত্তীর্ণ হয় আমি এসিসট্যান্ট কমিশনার পিডাব্লিউডি তেও চাকরি পেয়েছিলাম। সেখানে যায়নি। বর্তমানে আমি বিসিএস কাস্টমস এন্ড এক্সাইজ কমিশনার বন্ড হিসেবে ঢাকাতে কর্মরত।

চিত্রদেশ: কবি পরিচয়ের বাইরেও আপনার একটি বড় পরিচয় আছে। আপনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। তো একই সঙ্গে দুটো পরিচয়ের ভারসাম্য রক্ষা করেন কীভাবে?

মো: মেহেবুব হক: আসলে আমার কোন কিছুইতো তেমন স্পেশাল কিছু মনে হয় না। আমি তো আসলে সারাদিন কাজের মধ্যে ডুবে থাকি। হঠাৎ করে যখন আমার কোন অনুভূতি আমার মধ্যে এসে ভর করে সাথে সাথে আমি কম্পিউটারের ওয়ার্ডেও একটা পেইজ ওপেন করি । আর লিখতে শুরু করি। এবং খুব অল্প সময়ের ভিতর আমি আমার অনুভূতিটাকে নিজের মত করে প্রকাশ করি । আর সেটা একটা কবিতা হয়ে যায়। এভাবেই একেকটা কবিতা লেখা হয়ে যায়। এমন নয় যে আমি লিখছি বলে আমার চাকরিতে হ্যাম্পার করছে, আবার আমি চাকরি করছি বলেই আমার লেখালেখিতে সমস্যা হচ্ছে তাও নয়। কক্ষনো নয়। কিছুতেই নয়। বরং আমি সমানতালে দুটোই ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছি।

চিত্রদেশ: কার কবিতা আপনাকে বেশি অনুপ্রাণিত করে।

মো: মেহেবুব হক: কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবি কাজী নজরুল। জীবনানন্দ দাশ, ফররুখ আহমদ, নির্মললেন্দু গুণ, হেলাল হাফিজ।

চিত্রদেশ: পাঠকরা কী আগামিতে কবিতা ছাড়া আপনার কোন গল্প বা উপন্যাস পাবে?

মো: মেহেবুব হক: আমি এটা বলতে পারছিনা। আমার প্রথমে ইচ্ছা আছে আমি কবিতার জগতেই থাকবো। কবিতাই লিখতে থাকবো আমি। কবিতার মাধ্যমে আমি মানুষে মানুষে প্রেম, দুঃখ, ব্যথা-বেদনাগুলোকে কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলবো। আপাতত আমি কবিতা নিয়েই ব্যস্ত থাকবো।

চিত্রদেশ: কবিতায় পাঠক তৈরিতে প্রকাশকদের কী ভূমিকা রাখা প্রয়োজন?

মো: মেহেবুব হক: কবিতায় পাঠক তৈরিতে প্রকাশকদের অনেক ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংগীত নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। এবং নাচের অনুষ্ঠান হয়। ঠিক এমনিভাবে যদি বিভিন্ন কবি, কবিতা নিয়ে এমন কোন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান হতো, কিংবা কবিতা উৎসবের আয়োজন করলে পারলে তাহলে নবীন কবিদের আরো অনেক বেশি পৃষ্টপোষকতা দেয়া হতো। নবীন কবিদের তাদের কবিতা লেখায় আরো উৎসাহ, আগ্রহ তৈরি হতো। কবিতা লেখায় বিকাশ হতো। কবিতা পাঠকও তৈরি হতো।

 

Related Articles

Back to top button