চিত্রদেশ

ঋষি কাপুর আর নেই

বিনোদন ডেস্ক:

বলিউডের আকাশে এখন কাল মেঘ ঘনিয়েছে। ফের এক মহাতারকাকে হারাল ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ। বুধবার ইরফান খানের পর বৃহস্পতিবারই চিরনিদ্রায় গেলেন ঋষি কাপুর। মুম্বাইয়ে স্যার এইচ এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেতা ৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ ৷

অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় বুধবারই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। আইসিইউতেই রাখা হয়েছিল প্রবীণ বলিউড অভিনেতাকে।

ভাই ঋষির অসুস্থতার খবর গতকালই নিশ্চিত করেছেন দাদা রণধীর কাপুর। এদিন প্রবীণ বলিউড অভিনেতার জনসংযোগকারী টিমের তরফে দেয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বুধবার ঋষি কাপুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাকে। স্ত্রী নীতু কাপুর তার সঙ্গেই রয়েছেন হাসপাতালে। ছেলে রণবীর কাপুরও রয়েছেন। চিকিত্‍‌সকের পরামর্শেই বুধবার ঋষি কাপুরকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ঠিক কী সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল তাকে, তা এখনও জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির দূষণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ঋষি কাপুর। সে সময়ও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল তাকে। যার জন্যে একমাত্র ভাগ্নে আরমান জৈনের বিয়েতে যেতে পারেননি ঋষি, নীতু ও রণবীরের কেউই। এবার মাস দুয়েক গড়াতেই ফের অসুস্থ হলেন অভিনেতা।

ঋষি কাপুর ১৯৭০ সালে তার পিতার চলচ্চিত্র মেরা নাম জোকারে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্রে পুরস্কার জিতে নেন। এরপর ববি চলচ্চিত্রে ডিম্পল কাপাডিয়ার সাথে প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান এবং ১৯৭৪ সালে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৭৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ৯২টি রোমান্টিক চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন যেখানে ৪১টি চলচ্চিত্রে সহ-তারকাদের সমন্বয় ছিল। বাকি ৫১টি চলচ্চিত্রের মধ্যে মাত্র ১১টি চলচ্চিত্রে তিনি সফলতা পান।

১৯৭৩ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তার সহধর্মীনি নীতু সিং এর বিপরীতে মোট ১২টি চলচ্চিত্রে এক সাথে কাজ করেন।

১৯৮০ সালের ২২ জানুয়ারী তারিখে ঋষি কাপুর অভিনেত্রী নীতু সিংকে বিয়ে করেন। এই সুখী দম্পতির দুইটি সন্তান রয়েছে; অভিনেতা রণবীর কাপুর ১৯৮২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এবং ডিজাইনার রিধিমা কাপুর সাহানি ১৯৮০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ঋষি কারিশমা কাপুর এবং কারিনা কাপুর এর কাকা হন।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button