অপরাধ ও আইনপ্রধান সংবাদ

অপারেটর যুবলীগ নেতা কাজী আনিসের ঢাকার বাড়ি-ফ্ল্যাট জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার:
যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক কাজী আনিসের ঢাকার বাড়ি-ফ্ল্যাট জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের গ্রামের বাড়িও জব্দ করেছে দুদক।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় পলাতক সাবেক যুবলীগ নেতা কাজী আনিসুর রহমানের ঢাকার কলাবাগানের পাঁচতলা একটি ভবন, দুটি ফ্ল্যাট এবং পাঁচটি দোকানসহ বিপুল সম্পদ জব্দ করার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সূত্র জানায়, যুবলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ২০০৫ সালে কাজ শুরু করেন গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের ছেলে আনিস।

যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগে ২০১২ সালে উপ-দফতর সম্পাদকের পদ পেয়ে যান আনিস। পরে দফতর সম্পাদকের পদটি খালি থাকায় ছয় মাসের মধ্যে তাকে ওই পদে অধিষ্ঠিত করা হয়।

এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি আনিসকে। ঢাকায় একাধিক গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমির মালিক হয়ে যান তিনি।

কম্পিউটার অপারেটর থেকে যুবলীগের বিগত কমিটির দফতর সম্পাদকের চেয়ারে বসা কাজী আনিসের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের বাড়ি-পেট্রোল পাম্পসহ অন্যান্য সম্পদও জব্দ করা হয়েছে বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

গত বছর সেপ্টেম্বরে র‌্যাবের অভিযানে ঢাকার বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে ক্যাসিনো কারবারে যুবলীগ নেতাদের সম্পৃক্ততার তথ্য বেরিয়ে আসে। ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা অনিয়মে যুবলীগের সামনের সারির কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হন। সে সময় কাজী আনিসের কয়েক বছরের মধ্যে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গা ঢাকা দেন এই যুবলীগ নেতা।

পরে ১১ অক্টোবর তাকে বহিষ্কার করে যুবলীগ। এর সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর কাজী আনিস ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করে দুদক। মামলায় ‘ক্যাসিনোর কারবারের মাধ্যমে’ ঘোষিত আয়ের বাইরে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, আলোচিত ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের আবেদনে প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ঢাকার একটি আদালত কাজী আনিসের সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেয়।

তিনি জানান, কমিশনের তদন্তে রাজধানীর কলাবাগানে আনিসের পাঁচতলা একটি বাড়ি পাওয়া গেছে। এছাড়া ধানমন্ডি ও ওয়ারীতে তার দুটি ফ্ল্যাট, এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটে তিনটি দোকান ও ১৩ বর্গফুট বাণিজ্যিক স্পেস, গুলশান-২ নম্বর এলাকার একটি মার্কেটে দুটি দোকান পাওয়া গেছে।

দুদকের ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, রাজধানীর বাইরে কাজী আনিসের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের বোয়ালিয়ায় বিলসাবহুল বাড়ি, একটি পেট্রোল পাম্প, ৩০ কোটি টাকার ১৫ বিঘা জমি ও কেরাণীগঞ্জে ৪০ কাঠা জমি পেয়েছে দুদক। এছাড়া আনিসের ৫০ কোটি টাকার ব্যাংক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

 

চিত্রদেশ//এলএইচ//

 

Related Articles

Back to top button